সোমবার ১৪ এপ্রিল ২০২৫ - ১৯:১৬
ইহুদিবাদী শাসন ব্যবস্থার ধ্বংসের জন্য দোয়া করুন

হযরত আয়াতুল্লাহ জাওয়াদী আমুলী বলেছেন, ইহুদিবাদী শাসনব্যবস্থা কোনো কিছুর প্রতিই বিশ্বস্ত নয়, এমনকি শিশুদের প্রতিও দয়া করে না। দোয়া ও তাওয়াসসুল (আল্লাহর দরবারে মধ্যস্থতা করে প্রার্থনা)—এই শত্রুদের বিরুদ্ধে আমাদের সবচেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র।”

হাওজা নিউজ এজেন্সি: হযরত আয়াতুল্লাহ জাওয়াদী আমুলী আজ তাঁর ফিকাহ ক্লাসে, সাইয়্যিদুশ্ শুহাদা হযরত হামজান (আ.)-এর শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে, তাঁর উচ্চ মর্যাদা ও বিশেষ ভূমিকা ব্যাখ্যা করেন।

তিনি বলেন, হযরত হামজা (আ.) সাধারণ কোনো যোদ্ধা ছিলেন না, বরং তিনি আহলে বাইতের এক অসাধারণ, বীর ও মহৎ ব্যক্তিত্ব ছিলেন।

আমিরুল মু’মিনীন আলী (আ.) বলেছিলেন, ‘‘আমার চাচা হামজা বা ভাই জাফর তাইয়্যারের যদি উপস্থিতি থাকতো, তবে আমি কখনোই সাকিফা (অবৈধ শাসন কাঠামো) মেনে নিতাম না।”

তিনি উহুদ যুদ্ধে বনু উমাইয়ার অপরাধের কথা স্মরণ করিয়ে বলেন, বদরের যুদ্ধে পরাজয়ের পর কুরাইশরা প্রতিশোধের জন্য উহুদের যুদ্ধে ভয়ংকর রকম ক্ষোভ ও ঘৃণা নিয়ে নেমেছিল। এমনকি মক্কায় একটি আইন করে রাখা হয়েছিল যে কেউ বদরের শহীদদের জন্য কাঁদতে পারবে না—এইভাবে ঘৃণা জমিয়ে রাখা হয়েছিল, যা উহুদের যুদ্ধে বিস্ফোরিত হয়। তারা শুধু হামজা (আ.)-এর কলিজা ছিঁড়ে খায়নি, বরং উহুদের অনেক শহীদের মৃতদেহ বিকৃতও করেছিল। এই কারণেই জিয়ারতে আশুরায়ে এই বনু উমাইয়া ও তাদের অনুসারীদের প্রতি লা’নত (অভিশাপ) করা হয়েছে—‘‘ওয়াবনু আ’কিলাতিল আকবাদ...’’

তিনি আরও বলেন- দোয়া, তাওয়াসসুল ও যিকরের শক্তি সীমাহীন। ঠিক যেমন নবী করিম (সা.) যুদ্ধের ময়দানে ‘‘ইয়া আহাদ’’, ‘‘ইয়া ছামাদ’’ ইত্যাদি যিকর ও দোয়া পড়ে জিহাদে যেতেন, আমরাও মুক্তিযুদ্ধের সময় রণাঙ্গনে সেই যিকরগুলো বলতাম এবং রণাঙ্গন যোদ্ধাদের বলতাম এগুলো যেন বলে যায়। আজও আমাদের সামনে সবচেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র হলো—দোয়া ও তাওয়াসসুল।”

শেষে তিনি বলেন, ইহুদিবাদী শাসনব্যবস্থা কোনো নীতি মানে না, এমনকি শিশুদের প্রতিও দয়া করে না। তাই আমাদের উচিত—দোয়া, জিয়ারত, কান্না, তাওয়াসসুল করা ও পবিত্র স্থানে যাওয়াকে অবহেলা না করা, সেখানে গিয়ে ইহুদিবাদী শাসনব্যবস্থার ধ্বংস চেয়ে দোয়া করা। কারণ এইসব দোয়া ও কান্নাই এই জালিম শাসনের ভিত্তি কাঁপিয়ে দেয়।

Tags

আপনার কমেন্ট

You are replying to: .
captcha